স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে জিতেও শেষরক্ষা হলো না। শেষ চারে যোগ্যতা অর্জনের নিরিখে প্রয়োজনীয় শর্তপূরণ না করতে পারায় টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল পাকিস্তানের। আর বিশ্বকাপ থেকে দলের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে কেরিয়ারে ইতি টানলেন দলের তারকা অল-রাউন্ডার শোয়েব মালিক।
পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন আগেই। সেইমতো শুক্রবার ম্যাচ শেষের পর সংবাদ সম্মেলনে ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন দেশের হয়ে ২৮৭টি ওয়ান ডে খেলা অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। তবে সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটের ক্রিকেট অর্থাৎ টি২০-তে এখনো খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি। আগামী বছর টি২০ বিশ্বকাপেও খেলতে দেখা যেতে পারে তাকে। শুক্রবার ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই আশার বাণী শোনালেন মালিক।
দেশের হয়ে ২৮৭টি ওয়ান ডে ম্যাচে ৭৫৩৪ রান ও ১৫৮টি উইকেটের অধিকারী শোয়েব মালিকের চলতি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এরপর টুর্নামেন্টে তার জঘন্য পারফরম্যান্স ও ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে সতীর্থদের সঙ্গে সস্ত্রীক তার ডিনারের বিষয়টি বিতর্ক আরো উসকে দেয়। চলতি বিশ্বকাপে ২টি ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে। ৩ ম্যাচ থেকে ১টি উইকেট সহ সর্বসাকুল্যে মালিকের সংগ্রহ মাত্র ৮ রান। পরিবর্তে হারিস সোহেল এসে পরে দুরন্ত পারফরম্যান্স উপহার দেয়ায় দলে কামব্যাকের কোনো সুযোগই ছিল না তারকা ক্রিকেটারের কাছে।
বিদায়বেলায় আবেগঘন বার্তায় বছর সাঁইত্রিশের পাক তারকা জানান, ‘আগের সাক্ষাতকারেই আমি আমার অবসরের বিষয়টি স্পষ্ট করেছিলাম। আজ বিশ্বকাপে দলের শেষ ম্যাচ ছিল এবং আমি ওয়ান ডে ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করছি। কয়েক বছর আগেই বিশ্বকাপের পর অবসরের সিদ্ধান্তটা গ্রহণ করেছিলাম। দুঃখের বিষয় হল যে ফর্ম্যাটকে একসময় সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতাম আজ সেই ফর্ম্যাট থেকেই অবসর নিতে চলেছি। তবে পরিবারকে আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় দিতে পারবো এই ভেবে আমি খুশি। পাশাপাশি টি২০ ক্রিকেটেও অনেক বেশি মনোনিবেশ করতে পারব।’
পাশাপাশি তার আরো সংযোজন, ‘টিমের স্বার্থে ব্যাটিং অর্ডারে যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানে ব্যাট করেছি। কিন্তু চলতি বিশ্বকাপে দু’টি খারাপ পারফরম্যান্সের নিরিখে আমাকে বিচার করা হল এই ভেবে কিছুটা খারাপ লাগছে।’
উল্লেখ্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে ২০১৬ অবসর ঘোষণা করেছিলেন পাক তারকা। বিদায়বেলায় দীর্ঘ ২০ বছরের ওয়ান ডে ক্রিকেটে যারা পাশে থেকেছেন, প্রত্যেককেই ধন্যবাদ জানান মালিক। ক্রিকেটার থেকে শুরু করে কোচ যাদের সঙ্গে দীর্ঘ কেরিয়ারে ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছেন, পাশাপাশি বন্ধু-পরিবার, মিডিয়া, স্পনসর, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং সর্বোপরি সমর্থকদের ভালোবাসা ও সমর্থনে আপ্লুত ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৯টি শতরানের মালিক শোয়েব।